করোনার ধাক্কায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই নিম্নমুখী ছিল রেমিট্যান্সের ধারা। মার্চ ও এপ্রিলে বড় বিপর্যয় হয় রেমিট্যান্সে। তবে তার পর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এ দ্বিতীয় স্তম্ভটি। রেমিট্যান্স ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
জুন ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে সব রেকর্ড ভেঙে যায়। আগস্টে এসে রেমিট্যান্স প্রবাহে সামান্য ভাটা পড়েছে। তার পরও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্সে ২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
জুলাইয়ে রেকর্ড ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে এ বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ৬২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এক জায়গায় দেখেছি ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৭২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। ২০১৯ সালের পুরো আগস্টে ১৪৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
আগেই বলেছি, করোনাকালের শুরুতে বড় পতনের পর জুন ও জুলাইয়ে দেশের রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে । যদিও আগের দুই মাসের ধারাবাহিকতা আগস্টে দেখা যায়নি, তার পরও রেমিট্যান্স প্রবাহে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেটি ইতিবাচক। তবে প্রায় সবাই বলছেন, ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
একই সঙ্গে দেশের রফতানি খাতও করোনা সৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ দাতা সংস্থাগুলোর ঋণসহায়তা বাড়ছে। গত কয়েক মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ৪ বিলিয়ন ডলার শুধু ঋণসহায়তা যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগস্ট শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলতি বছরের প্রথম থেকেই দেশের আমদানি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের আমদানি ব্যয় কমেছে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আমদানি খাতের বড় বিপর্যয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য কিছুটা হলেও সুখবর বয়ে আনে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস। রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফনের পাশাপাশি রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়ানোয় দ্রুত বাড়তে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত তিন মাসে ছয়বার রেকর্ড করেছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ সূচক।
গত ৩ জুন প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরো বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ৩০ জুন রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরও অতিক্রম করে। তিন সপ্তাহ পর ১৭ আগস্ট রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বা নতুন করে বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে চিত্রটি বেশ বিপরীত। বিশ্বে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ছুটিতে আসেন প্রায় দুই লাখ প্রবাসী। তারা ফিরতে পারছেন না। সব প্রস্তুতি শেষ করেও যেতে পারেননি এক লাখ নতুন কর্মী। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ফিরে এসেছেন আরো এক লাখ কর্মী। এই চার লাখ কর্মী অনেকটা নিঃস্ব হয়ে গেছেন, বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাদের পরিবার। পত্রিকানুসারে গড়ে প্রতিদিন ফিরে আসছেন দুই হাজার কর্মী।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক গণমাধ্যমকে বলেছে, করোনায় যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পরও ফিরে এসেছেন অনেক প্রবাসী কর্মী। শুরুর দিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল ভাড়া করা বিশেষ ফ্লাইটে। আগস্ট থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে। গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফিরেছেন ৯৫ হাজার ৬২ জন। এদের বড় অংশকেই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ১৬ দিনেই এসেছেন ৩১ হাজার প্রবাসী। আর শেষ চারদিনেই এসেছেন প্রায় ১০ হাজার। ফিরে আসা প্রবাসীদের মধ্যে নারী কর্মী আছেন ৬ হাজার ৬৫৬ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, প্রবাসী কর্মীদের ফিরে আসার সংখ্যাটি দিন দিন বাড়ছে। দেশে ফিরে কোনো কাজ পাচ্ছেন না তারা। পাচ্ছেন না কোনো সাহায্য। অনেকে ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, ফিরে আসা কর্মীদের একটি বড় অংশ অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে কাটিয়ে সৌদি আরব থেকে ফিরে এসেছেন ২০ হাজার ৮২৯ জন কর্মী। কারাভোগ করে কুয়েত থেকে ৭ হাজার ৯৪১ এবং ওমান থেকে এসেছেন ৫ হাজার ৭১৩ জন।
এছাড়া কাজ না থাকায় মালদ্বীপ থেকে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার, কাতার থেকে ৭ হাজার ৭৬৯ জন ও মালয়েশিয়া থেকে প্রায় তিন হাজার জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একইভাবে সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, বাহরাইন, লেবানন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ভিয়েতনামসহ নানা দেশ থেকে ফিরে আসছেন কর্মীরা। সংখ্যায় কম হলেও কেউ কেউ ফিরেছেন চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুসারে, আগের বছরের তুলনায় ২০১৮ ও ২০১৯ সালে জনশক্তি রফতানি কমেছে। আর এ বছর এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ মাস ধরে জনশক্তি রফতানি পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এর আগে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন মাসেও গড়ে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি কর্মী গেছেন বিদেশে। এ হিসেবে বিদেশে কর্মসংস্থান চালু থাকলে গত পাঁচ মাসে নতুন করে অন্তত তিন লাখ কর্মী বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
দেশে ফেরা প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে জরিপ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। তিন সংস্থার জরিপেই প্রবাসীদের দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে। প্রবাসীদের দ্রুত সহযোগিতা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে সংস্থাগুলো।
আমরা দেখেছি তিন মাস ধরে প্রবাসী আয় আসা বাড়ছে। এ প্রবাহ ধরে রাখতে হলে কর্মী পাঠাতে হবে। আর ফিরে আসা প্রবাসীদের পুনর্বাসনে ঋণ দিতে ২০০ কোটি টাকার তহবিল করা হয়েছে। সম্প্রতি এ তহবিলে আরো ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শিগগিরই হয়তো ঋণ বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৪২৫ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় ফিরে আসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও নগদ সহায়তা দেয়া হবে।
অন্য একটি ভাবনার বিষয় হচ্ছে, ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের পাশাপাশি বিদেশে কর্মী পাঠানোর সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও চরম বিপদে পড়েছেন। কাজ না থাকায় তাদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশে ছুটিতে আসা দুই লাখ এবং ভিসা করা নতুন এক লাখ কর্মীর বিদেশে যাওয়া নিয়েও চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে অভিবাসনের নামে মানব পাচার বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
গন্তব্য ও উৎস দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রমবাজার স্বাভাবিক হবে না। গন্তব্য দেশগুলোতে এরই মধ্যে কিছুটা উন্নতি হলেও আমাদের দেশে হয়নি। এটি বিলম্বিত হলে শ্রমবাজার চালু আরো হুমকির সম্মুখীন হবে।
১ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশফেরত কর্মীর ওপর জরিপ করে আইওএম বলেছে, জীবিকা সংকটে আছেন দেশে ফেরা ৭০ শতাংশ প্রবাসী কর্মী। প্রায় ৭৫ শতাংশ জানায়, তারা আবার অভিবাসনে আগ্রহী। তাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে যে দেশে কাজ করতেন, সেই দেশেই আবার অভিবাসনে ইচ্ছুক। তবে জরিপে ৫৫ শতাংশ বলেছেন, তাদের ওপর ঋণের বোঝা রয়েছে।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে দেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আসা বাড়লেও বেশির ভাগ প্রবাসী পরিবার তা পাচ্ছে না বলে রিপোর্ট এসেছে। রামরুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি মাইগ্র্যান্টসের নয়টি সংগঠনের উদ্যোগে একটি জরিপ করা হয়েছে গত মে-জুনে। জরিপটি চালানো হয় বিদেশ থেকে ফিরে আসা ২০০ শ্রমিকের (তাদের মধ্যে ২৮ জন নারী) পরিবারের ওপর।
পরিবারগুলো প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসী শ্রমিকদের। ২৭ জুলাই প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, করোনাকালে ৬১ শতাংশ পরিবারে রেমিট্যান্স আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। রামরুর এ জরিপ বলছে, ৭৮ শতাংশকে রাস্তা থেকে ধরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ৭৪ শতাংশ কর্মী তাদের টাকাপয়সা নিয়ে আসতে পারেননি।
দেশে ফেরা ৫৫৮ জনের ওপর পরিচালিত ব্র্যাকের এক জরিপে বলা হয়, এদের ৮৬ শতাংশ ফিরেছেন মার্চে। ৪৫ শতাংশ এসেছেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে। আয়ের কোনো উৎস নেই ফেরত আসা ৮৭ শতাংশ কর্মীর। সরকারি বা বেসরকারি কোনো সাহায্য পাননি ৯১ শতাংশ। জরিপে ৭৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা এখন প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ভীতির মধ্যে রয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন ৫২ শতাংশ প্রবাসীর।
গত ২২ মে এ জরিপ প্রকাশিত হয়। এখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে হিসাবমতে প্রায় ৪০ লাখ বাংলাদেশী কাজ করেন। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী কর্মী থাকেন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ ও ইতালি। সবক’টি দেশই করোনায় বিপর্যস্ত হয়েছে। অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা কর্মীরা চরম বিপদে আছেন। ছোট আকারের বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা আছেন পুঁজি হারানোর শঙ্কায়। রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেল, পর্যটন ও উৎপাদন শিল্পে বেকারত্ব বাড়ছে। বৈধ কাগজপত্র নেই, এমন কর্মীদের অবস্থা বেশি খারাপ হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা ফিরে আসছেন, ছুটিতে আসা প্রবাসীরা যেতে পারছেন না কিংবা নতুন করে প্রবাসে কর্মসংস্থান হচ্ছে না, তাহলে কি আমাদের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে? প্রশ্ন উঠছে প্রতি ডলার রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ বেশি দিয়ে কি রেমিট্যান্সের ধারাকে অব্যাহত রাখা যাবে? নতুন করে শ্রমিক যেতে পারছেন না, অনেকে ফেরত এসেছেন বা আসছেন, তথাপিও রেমিট্যান্স বেড়েছে। আমরা কি কোনো কিছু বুঝতে ভুল করছি?
অনেকেরই জিজ্ঞাস্য, ফেরত আসা বা সম্ভাব্য ফেরত আসা প্রবাসীদের জন্য আমরা আর কী করতে পারি? অনেকে বীমার কথা বলছেন। এ লেখায়ই আমরা বলেছি প্রবাসীদের পুনর্বাসন বা কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের উদ্যোগের কথা কিংবা অন্যান্য সম্ভব দেশে কর্মসংস্থানের জন্য নতুন করে দূতিয়ালির কথা।
সব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে এটা নিশ্চিত জানি, ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। গ্রামেগঞ্জে এনজিওগুলোকে তত্পর হতে হবে, অধিকার সংস্থাগুলোকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের শ্রমিক অধ্যুষিত দেশগুলোতে দূতিয়ালি আরো শক্তিশালী করতে হবে।
-মামুন রশীদ : অর্থনীতি বিশ্লেষক
সর্বশেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৩০
পাঠকের মন্তব্য