মালয়েশিয়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বেহাল দশা

মালয়েশিয়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বেহাল দশা
মালয়েশিয়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বেহাল দশা

মালয়েশিয়ার একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির অ্যাগ্রো একসপোশন পার্ক সেরডাং (এমএইপিএস) কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তাদের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটেনি বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। জাতীয় দুর্যোগ পরিচালন সংস্থা (নাদমা) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভিডিওতে রোগীদের থাকার ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র প্রদর্শিত হয়নি।

নাদমার মুখপাত্র নূর ডালিজা দোহাত বলেছেন, ‘ভিডিওতে যা প্রদর্শিত প্রতিদিনের স্রাব প্রক্রিয়া চলাকালীন একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি। কেন্দ্রটিতে ৮,০০০ শয্যা রয়েছে এবং যখন প্রয়োজন দেখা দেয় তখন আরও ২,০০০ উপসর্গ করা যায়। ‘৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ২,৮৬৩ জন রোগী ছিলেন, যার অর্থ এখনও অবধি ৫,১৭৭ শয্যাবিহীন শয্যা রয়েছে।

নূর ডালিজা বলেছেন, যদিও হলটিতে কোনো বিভাজন ছিল না, নির্ধারিত মান পদ্ধতি অনুসারে কোভিড-১৯ রোগীর শারীরিক দূরত্ব পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে সেন্টারে বিভিন্ন এজেন্সি থেকে দায়িত্বে পালনরত ১,১৭০ জন কর্মী রয়েছেন।

চলমান মহামারি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে মালয়েশিয়ায়। কড়া বিধিনিষেধ আরোপের পরেও যেন থামছে না। তবে এ যাত্রায় দেশটির নাগরিকদের পাশাপাশি বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন অভিবাসী কর্মীরা। আক্রান্ত বিদেশি কর্মীদের বাসে করে নেয়া হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাদেশিক সীমান্ত খুলে দেয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি তানশ্রী ডা. নূর হিশাম আব্দল্লাহ বলছেন, ফ্রন্টলাইনাররা তাদের ভোগবিলাস ছেড়ে মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।

চলমান করোনা বিস্তার রোধে ১১ জানুয়ারি পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। এদিকে চলমান কোভিড-১৯ এ বিদেশি কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ায় নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মীদের আলাদা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেয় মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ ঘোষণাকে অযৌক্তিক বলে কড়া সমালোচনা করেছে ফেডারেশন অফ মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স (এফএমএম)।

সম্প্রতি মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এ সমালোচনা করেছে এফএমএম। বিষয়টিকে সংক্রামক সমস্যা/রোগ পরিচালনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন কাউকেই বাধ্যতামূলক ও সংবিধিবদ্ধভাবে পরিচালনা করা অনুচিত বলে মনে করছেন এফএমএম সভাপতি সোহ থিয়ান লাই।

সোহ সরকারকে সতর্ক করে বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থার মধ্যে আরও বেশি লোক সংক্রামিত হতে পারে। ‘এরূপভাবে, মালিক পক্ষের কাছে এই দায়িত্ব অর্পণ করা ভুল, যার নিজস্ব কোয়ারেন্টাটাইন কেন্দ্র পরিচালনা এবং পরিচালনা করার জন্য সংস্থান এবং পেশাদার প্রশিক্ষণ নেই এবং তার ফলস্বরূপ একটি বিপর্যয়কর পরিণতি ঘটবে।

বিদেশি কর্মীদের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার কারণে নিয়োগকারীদের পক্ষে বাড়ি ভাড়া নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিয়োগকর্তাদের পৃথকীকরণের সময়কালে চিকিৎসা ব্যয় এবং বিদেশি শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় বহন করার কথা বলা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেট: ৯ জানুয়ারী ২০২১, ২২:৩৪
Desk
এড্যমিন

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও