করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার। চলতি মাসেই আসতে পারে সুখবর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি সচল করতেই মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কর্মী নেওয়ার ইঙ্গিতের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা সেটা দিয়ে স্টাডি করছি। জানুয়ারিতে এই নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। এ ছাড়া শিগগির বসবে দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক।
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে মাত্র ছয় মাসেই কমপক্ষে চার লাখ শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হলে সরকারের বেঁধে দেওয়া খরচে কর্মী পাঠানোর কথা জানান এ খাতের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য বাংলাদেশি কর্মী আধুনিক জীবনযাত্রা, ভালো উপার্জন আর সাংস্কৃতিক মিল থাকায় নিরিবিলি বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর মালয়েশিয়ায় যান। বর্তমানে দেশটিতে রয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি।
সরকারি হিসাবে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭৬ হাজার। কিন্তু ওই বছরই সেপ্টেম্বরে দেশটির নতুন সরকার কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় এবং গত বছরজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ছিল নাম মাত্র। আবার দেশে ছুটি কাটাতে এসে সেখানে কর্মরত প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি করোনার কারণে আটকে রয়েছেন। এসব কর্মী এখন দিন গুনছেন ফিরে যাওয়ার।
বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, যারা বর্তমানে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তাদের বৈধ করার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে করোনার কারণে যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে, এবারের সুযোগ কাজে লাগাতে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ তাদের।
সর্বশেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারী ২০২১, ১৩:০৩
পাঠকের মন্তব্য