যাদের শ্রম-ঘামের যুদ্ধে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে। তাদেরকে বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
রেকর্ড ভেঙে একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়েই চলেছে রেমিট্যান্স। করোনা মহামারিতেও গেল বছরের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা।
বিদেশের মাটিতে কর্মীদের রাষ্ট্রীয় অভিভাবক সে দেশে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাস। বাংলাদেশি নাগরিকদের সেবা দেয়ার পাশাপাশি সে দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, শিল্প-বাণিজ্যে সহায়তা তাদের মূল দায়িত্ব। কিন্তু সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে প্রবাসীদের।
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো তাদের সেবায় কেমন ভুমিকা রাখে? প্রবাসীদের অভিযোগ, দূতাবাসে সেবার বদলে নানারকম হয়রানি মেলে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আছে দালাল চক্রের দৌরাত্ম। যদিও হয়রানি বন্ধে কাজ করার আশ্বাস পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শাহরিয়ার আলম।
সৌদি আরবের এক প্রবাসী জানান, আমরা সৌদিতে বাংলাদেশের দূতাবাসে কোন ধরনের পাত্তা দিতে চায় না। হেল্প তো দূরের কথা। কোন কাজ করতে গেলে দালালের মাধ্যমে হয়রানি হতে হয়।
চাকরির পাশাপাশি অনেক প্রবাসীই ব্যবসা করতে চান। করতে চান বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ডিং। কিন্তু অন্যান্য দেশের দূতাবাসের মত বাংলাদেশের দূতাবাসের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।
মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করা এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, আমরা যারা বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে এক্সপোর্ট ও ইমপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, কোন ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য গেলে নানা ধরনের হয়রানি শিকার হই।
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন-রামরুর জরিপ বলছে, ১৯ ভাগ মানুষ বিদেশে যাওয়ার আগে প্রতারিত হন। বিদেশে যাওয়ার পর প্রতারণার শিকার হন ৩১ ভাগ। সরকারি বেসরকারি মাধ্যমে প্রতি বছর যান ২০ লাখের মতো। অনেকেই ফিরেও আসেন নানা জটিলতায়।
রামরুর পরিচালক মেরিনা সুলতান বলেন, প্রবাসীরা দেশের জন্য যে অবদান রাখছে তার ভিত্তিতে তাদেরকে মূল্যায়ন করার সময় এসেছে।
দূতাবাসের সেবার মান বাড়াতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। দূতাবাস কেন্দ্রিক কিছু চক্র গড়ে ওঠে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। গত কয়েক বছর আমরা দেখেছি। আমাদের এ কাজগুলো অব্যহত থাকবে।
সর্বশেষ আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১৮:১৪
পাঠকের মন্তব্য