ইউরোপীয় নাগরিকদের যুক্তরাজ্যের নাগরিক মর্যাদা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে আরও এক বছরের মতো
সময় রয়েছে।
ব্রেক্সিটের পর থেকে এই বাধ্যতামূলক নীতি মেনে ইউরোপিয়ানদের ব্রিটেনে থাকতে হবে।
ব্রিটেনের অভিবাসন ও ব্রেক্সিট পরবর্তী সীমান্ত সচিব কেভিন ফস্টার সংবাদ মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন
‘২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ইউরোপীয়দের আবেদন করার সময়-সীমার আছে।
তাই এই এক বছর বাকি সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় নাগরিক এবং তাদের পরিবারেরা যেন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করেন’।
৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হওয়ার পর থেকে দেশটিতে স্বাধীনভাবে
ইউরোপীয়দের চলাচল বন্ধ হয়। একই সাথে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এই অন্তবর্তী সময়ের পর ইইউ-এর ২৭টি
সদস্য রাষ্ট্রে ব্রিটিশ নাগরিকদের চলাচলও বন্ধ হবে।
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যে একটি নতুন অভিবাসন নীতি কার্যকর হবে, যা পেশাদারী বা শিক্ষাগত যোগ্যতার মতো মানদণ্ড আরোপ করবে এবং ন্যূনতম ২৫,৬০০ পাউন্ড ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করবে।
যেসব ইউরোপীয়ানরা পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে আছে তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী নাগরিক (স্থায়ী মর্যাদা) হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। আর যদি তারা পাঁচ বছরের কম সময় ধরে সেখানে অবস্থান করে তবে তারা প্রভিশনাল টাইটেল বা প্রি-সেটলড মর্যাদা পেতে নিবন্ধন করতে পারেন।
জানা গেছে, মে মাসের শেষে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩.৬ মিলিয়ন আবেদনপত্র পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৩ লাখ আবেদন প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে, যার প্রায় ৪৪ হাজার জন কোনো অনুমোদন পাননি।
পোল্যান্ড, রুমানিয়া এবং ইতালির পর ব্রিটেনে নাগরিকত্ব আবেদনের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে পর্তুগাল। দেশটি থেকে জমা পড়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ আবেদন।
এদিকে ইইউ রেসিডেন্স স্কিম বা ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিমটি নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং লিচেনস্টাইনের নাগরিক ও নন-ইউরোপীয় দেশের সকল যোগ্য আবেদনকারীর ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০, ১২:২৬