রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর মানব শরীরে পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে আশাব্যঞ্জক ফলাফল এসেছে। এবং এই সপ্তাহে করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চলছে ১০০ জনের উপরে।
রাশিয়ান ডাইরেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল বলেছেন , আগামী আগস্ট মাস থেকে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হতে পারে।
আরো বলেন , আমরা শুধু সৌদি আরবের রাশিয়ান ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলো তৃতীয় পর্যায়ের নেয়ার আলোচনা করছি না , এরই মধ্যে আমাদের ড্রাগ অ্যাভিফাভির কিনে নিয়েছেন সৌদি আরব। এখন আমরা সৌদি আরবের সাথে ভ্যাকসিন তৈরীর বিষয়েও আলোচনা করছি।
অ্যাভিফাভির একটি ওষুধ যা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয় ইনফুয়েঞ্জা জাতীয় চিকিৎসার জন্য। এবং এটি বর্তমানে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় কার্যকর ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ রাশিয়া থেকে করোনা টেস্টিং কিট সংগ্রহ করেছে।
রুশ ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিভ চলমান সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সৌদি-রুশ অংশীদারিত্বকে ইতিবাচক মিথস্ক্রিয়তার একটি ভাল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সৌদি আরব রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।’
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। দিমিত্রিভ বলেছিলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আশা করছেন আগস্টে রাশিয়ায় এটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হবে বলে। যদি তা হয় তবে এটি বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত ভ্যাকসিন হতে পারে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০, ১৪:৩০
পাঠকের মন্তব্য