বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক আইন কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ তুলে ধরেছেন, দূতাবাসের বর্তমান পরিস্থিতি, কি হবে? কোথায় গিয়ে দাড়াবে পরিস্থিতি, তার সেই পোষ্ট হুবহু তুলে ধরা হলো
“এই প্রবাস ” এর পাঠকের জন্য।
বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের শ্রম উইং এর আমরা যারা সরাসরি জনসম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন থানা-পুলিশ, হাসপাতাল-মর্গ, কোর্ট-কাচারীতে দৌড়াদৌড়ি করতাম একে একে সবাই আক্রান্ত হচ্ছি। সপরিবার আমি ও শিহাব আক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের সব ড্রাইভার ভাইরা আক্রান্ত হলো।
এই মহামারির সময়েও দেড়শত নারী কর্মীর আশ্রয়স্থল রিয়াদ সেইফ হোম পরিচালনা করে আসা সাঈদ ভাই মারা গেলেন করোনার আলামত নিয়ে ।
তারপর সপরিবার আক্রান্ত হলেন রিয়াদ সফরজেলে ভালোমন্দ দেখাশুনা করা ও বন্দীদের দেশে প্রেরণে অন্যতম সহায়ক আব্দুর রশিদ ভাই।
আমি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যিনি সবচেয়ে বেশি লোড নিয়ে কাজ করেছিলেন সেই সুহেল ভাই আজ আক্রান্ত হলেন। তার সাথে আক্রান্ত হয়েছেন ইয়াসীন মানিক ভাই। সুহেল ভাই নয় তারিখ রাতেও রাতভর বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এর প্যাসেঞ্জারদের সাথেই ছিলেন। করোনার সময়ে দূতাবাসকেই বাসা বাড়ি বানিয়ে চব্বিশ ঘন্টাই যে ফাহাত সার্ভিস দিয়েছিল সে পরিক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। শুধু শ্রম উইং এ ই আমরা নয় জন আক্রান্ত হয়েছি, একজন আলামত নিয়ে মারা গিয়েছেন।
তারপরেও কাজ চলছে, চলতে হবে। মানুষের প্রয়োজন তো আর আমাদের অসুস্থ ও মৃত্যুতে থেমে থাকবেনা। সাইদ ভাই না ফেরার দেশে চলে গেলেন, সেইফ হাউজ তো চলছে। আমরাও অফিস করছি। জাহিদ ভাই লেবার কোর্টে যাচ্ছে, রাফি ভাই ফিমেল ডিসপিউট কোর্টে যাচ্ছে, মৃতদের বকেয়া পাওনা পাঠাতে মনোয়ার ভাই ও মফিজ ভাই ব্যাংকে দৌড়াচ্ছে।
প্রতিনিয়ত ভয়কে সঙ্গী করে চলার এ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কবে শেষ হবে এই সময়?
পাঠকের মন্তব্য