সরকার বিদেশগামীদের জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করলেও সব জেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা
না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রবাসীদের। শেষ মুহূর্তে টিকিট যোগাড় হলেও সময়মতো
করোনা পরীক্ষা করতে না পারায় যাত্রা বাতিল হচ্ছে অনেকের।
সারা দেশে মাত্র ১৬টি প্রতিষ্ঠান কোভিড টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট করায় ঢাকার নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের ওপর চাপ পড়ছে। সার্বিক প্রক্রিয়ায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে টেস্টের সুবিধা বাড়ানো ও ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
করোনা পজিটিভ যাত্রীর বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে ২৩ জুলাই থেকে সব বিদেশগামীর জন্য করোনা সনদ
বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
বেসরকারি ল্যাবের কোভিড সনদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় করোনা পরীক্ষার জন্য ১৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে
দেয়া হয়।
কিন্তু সরকারি নির্দেশনার আগে যারা এয়ারলাইন্সগুলোর দেয়া তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করেছেন
তাদের পুনরায় পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
যারা শেষ মুহূর্তে টিকিট পেয়েছেন বিপদে পড়েছেন সেসব প্রবাসীরাও।
এদিকে সব জেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকার ডিএনসিসি মার্কেটে বিদেশগামীদের জন্য স্থাপিত করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো ও ফি কমানোর দাবি প্রবাসীদের।
সিভিল সার্জন মঈনুল আহসান বলেন, রংপুরে স্যাম্পল দেবে আর ২৪ ঘণ্টায় রিপোর্ট নিয়ে ঢাকায় এসে ফ্লাইট ধরা ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য দেশের লোড আমরা নিচ্ছি।
প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে ভ্রমণের জন্য করোনা টেস্ট স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে পড়ে না, এজন্য খরচ হিসাবে কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানান মুখপাত্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুখপাত্র ডা. আয়েশা বলেন, যারা বিদেশে যাচ্ছে তাদের জন্য এটা সরকারি স্বাস্থ্য সেবা নয়।
যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার নির্ধারিত কেন্দ্রে নমুনা দিতে হবে বিদেশগামীদের। নমুনা দেয়ার পর যাত্রার আগ পর্যন্ত আইসলোশনে থাকারও নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০, ১১:৪২
পাঠকের মন্তব্য