মিশরের কায়রোর মার্কিন দূতাবাস খুকির বোনকে টেলিফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে খুনের কারণ না জানা গেলেও স্বল্প সময়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে কায়রো পুলিশ।
ইতিমধ্যে ঐ হোটেলের ম্যানেজার, রুমবয়সহ একজন মিশরীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মিশরীয় পুলিশ।
জানা গেছে ঐ মিশরীয় নাগরিক খুকির বন্ধু।
আপাতত প্রাথমিকভাবে মিশরীয় পুলিশ বলছে প্রেমঘটিত কারণে খুন হয়েছেন খুকি।
গ্রেফতারকৃতদের মিশরীয় গোয়েন্দা পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খুকির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন খুকির বান্ধবী জাতীয় পার্টির নেত্রী শাহজাদী নাহিনা নূর।
শাহজাদী তাঁর ফেইসবুক পেইজে লিখেন, “আমাদের প্রিয় দোস্ত ফাতেমা খান খুকি আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”।
কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত হয়ে নয়, সাত দিন আগে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে মিশরের একটি হোটেলে। এইমাত্র আমাকে এক বন্ধু বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।”
শাহজাদী আরও লিখেন, গত সপ্তাহেই তাঁর জন্মদিন ছিল। আমি বাকরুদ্ধ। কে তাঁকে হত্যা করলো কিংবা কিভাবে সে মারা গেল, তার কারণ কেউ জানে না। খুকি, কেন তুমি মিশর গিয়েছিলে? কেন?”
খুকির বান্ধবী নিউইয়র্কের টিভি উপস্থাপিকা শারমিনা সিরাজ সোনিয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা গণমাধ্যম এনআরবি কানেক্টকে বলেছিলেন যে , ‘আমিও খবরটি পেয়েছি। আমি কোনোভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। খুকি কেন মিশর গিয়েছিল, কারো সাথে গিয়েছিল কি-না, কিংবা কারো সাথে দেখা করতে গিয়েছিল কি-না তার কোনো কিছুই আমরা জানি না। সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই রহস্যে ঢাকা।’
প্রায় ৪৪ বছর বয়সী বাংলাদেশী আমেরিকান ফাতেমা খান খুকি বিউটি এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করতেন আমেরিকার নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে। সেখানকার বাংলাদেশী কমিউনিটিতে দারুণ জনপ্রিয় তিনি।
খুকি বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০, ২১:১২
পাঠকের মন্তব্য