হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো গোডাউন থেকে তমা কনস্ট্রাকশনের আমদানি করা মাস্ক চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিমান বাংলাদেশ বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।
তাই সেখানে চুরি হলে তার দায় নিতে হয় বিমানকে।
তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানের দু’জনকে চাকরিচ্যুত করা হলেও তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ২ মে তমা কনস্ট্রাকশনকে তিন লাখ পিস এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)।
তবে সংখ্যায় কম হওয়ায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে চিঠি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
সিএমএসডির ওই চিঠিতে বলা হয়, তমা কনস্ট্রাকশনের এক লাখ ৮০০ পিসের একটি চালান সিএমএসডিতে গ্রহণ করার সময় দৈবচয়নের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের সময় প্রথম ২০টি কার্টনের মধ্যে ৫-৬টি কার্টনে ১-২টি বক্স কম পাওয়া যায়।
এভাবে কার্টনে বক্স না থাকলে আনুপাতিক হারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাস্ক কম পাওয়া যাবে, যা অনভিপ্রেত ও চুক্তিশর্ত লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে নিজস্ব তদন্তে তমা কনস্ট্রাকশন বিমানবন্দরের কার্গো গোডাউন থেকে মাস্ক চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানকে একটি চিঠি দেয় তমা কনস্ট্রাকশন।
বেবিচক চেয়ারম্যান এ বিষয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সপ্তাহব্যাপী তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে কমিটি।
প্রতিবেদনে উঠে আসে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের চুরির সঙ্গে জড়িতদের নামের তালিকা।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেছিলেন, ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হয়েছিল।
ভিডিও ফুটেজে পুরো চুরির ঘটনাটি দেখা গেছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমাকে অবগত করতে বলা হয়েছে।’
পাঠকের মন্তব্য