কোভিড-১৯ সংক্রমণের ধাক্কা অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়াতেও পড়েছে। মহামারি সংকট ও পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই ঈদের মধ্যেও তাদের মুখে হাসি নেই। চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা। করোনার কারণে চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। অনিশ্চিত সময়ে ঘুরে আসা চিরচেনা ঈদের আবহে ছন্দ মেলাতে পারছেন না তারা।
আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে আড়াইগুণ বড় মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে পর্যটকদের কম-বেশি ভিড় লেগে থাকে সারাবছর। ভিড়টা সবচেয়ে বেশি হয় রাজধানী কুয়ালালামপুরে। কারণ শহরজুড়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, আকাশছোঁয়া অট্টালিকা, সুদৃশ্য সবুজ পার্ক, সুউচ্চ মসজিদের মিনার, রাস্তার ধারে অসংখ্য সারি সারি রঙিন খাবারের দোকান। এছাড়া দেশটির সর্বত্র নির্মাণশিল্প, ইলেকট্রনিক্স ফ্যাক্টরি, রাবার শিল্প, পামফলের বাগানসহ অসংখ্য কল-কারখানা রয়েছে।
এদিকে জনসংখ্যা অত্যন্ত কম হওয়ায় মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রয়োজন হয় লাখ লাখ প্রবাসীকর্মীর। বেসরকারি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ কর্মীর প্রয়োজন হয় দেশটিতে। এর মধ্যে ২৫ লাখ কর্মীর বৈধ ওয়ার্ক-পারমিট থাকলেও বাকি প্রায় ৩০ লাখের কোনো বৈধ ওয়ার্ক-পারমিট থাকে না। দেশটিতে কর্মরত শ্রমিকদের বেশির ভাগ ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপিন, নেপাল, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়াতেও লেগেছে চরম অর্থনৈতিক ধাক্কা। সে ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রবাসীকর্মীরা। মহামারি রোধে মার্চে মালয়শিয়াতে শুরু হয় মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (লকডাউন)। শুরুর কিছুদিন ঘরে বসে নিরাপদে থাকলেও দিন যত বাড়তে থাকে প্রবাসীরা পড়তে থাকেন অর্থ ও খাদ্য সংকটে।
কারণ অভিবাসীকর্মীরা কেউ টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন না। মাস শেষে দেশে পরিবারের কাছে টাকা পাঠিয়ে দেন। টানা সাড়ে পাচঁ মাস কাজকর্ম না থাকায় বেতন বন্ধ, আয়ও বন্ধ। কিন্তু খরচ বন্ধ নেই। অন্য কোথাও কাজ খোঁজার উপায়ও নেই, কারণ সবদিকে একই অবস্থা। কর্মঘণ্টা কমিয়ে কাজ অথবা কর্মী ছাঁটাই কার্যক্রমও চলছে। দিন যত যাচ্ছে ততই কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি।
চলমান এ পরিস্থিতি অক্টোবরের আগে ঠিক হচ্ছে না— এমনটিই ধারণা সবার। কিন্তু অক্টোবর পর্যন্ত টিকে থাকাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবাসীদের জন্য। অন্যদিকে, দেশে থাকা পরিবার-পরিজন পথ চেয়ে বসে আছে, কবে টাকা পাঠানো হবে। কারণ তাদের পরিবারগুলো মাস শেষে প্রবাসের রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। সবকিছু মিলে, মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীদের চারপাশ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত।
চীনে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরপরই মালয়েশিয়ায় এই রোগের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ২৩ জানুয়ারি মালয়েশিয়াতে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুরু থেকে বিভিন্ন তৎপরতার কারণে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে একটি ধর্মীয় জামাত হতে সেটি ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। দ্রুত বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।
হাজার ছাড়িয়ে গেলে ১৮ মার্চ হতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঘোষণা করা হয় ১৪ দিনের মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও), যা পর্যায়ক্রমে আরও তিন দফা বৃদ্ধি করা হয় ৩ মে পর্যন্ত। এ সময় শুধুমাত্র খাদ্যপণ্যের দোকান, এটিএম বুথ, ক্লিনিক ও হাসপাতাল ছাড়া সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়। এর মাঝে খাদ্যপণ্যের দোকানও শুধুমাত্র সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়। অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি এলাকা চেকপোস্ট দিয়ে বন্ধের পাশাপাশি জেলাভিত্তিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বিনা প্রয়োজনে বের হলে করা হয় জেল-জরিমানা।
এই যখন পরিস্থিতি তখন বেশিরভাগ প্রবাসীকে কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে থাকতে হয়। প্রথম দুই সপ্তাহ মোটামুটি চালিয়ে নিলেও পরের দিনগুলোতে সমস্যা ধীরে ধীরে প্রকট হয়। মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ৩ মে শেষ হওয়ার পর ৪ মে শুরু হয় কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও), যা বলবৎ থাকে ৯ জুন পর্যন্ত।
এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল কিছুটা শিথিল করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। কিন্তু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই বন্ধ থাকে। সর্বশেষ ১০ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ঘোষণা করা হয় রিকোভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও)। এর মঝে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিড়-জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিধিনিষেধে কড়াকড়ি থাকায় কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান খুললেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়। বাতিল করা হয় ওভার টাইমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয় নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। যা দিয়ে নিজের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে পরিবার-পরিজনের খরচ মেটানোর দুশ্চিন্তা দিনদিন বাড়ছে।
এছাড়া মালয়েশিয়াতে অসংখ্য বাংলাদেশিকর্মী রয়েছেন, যারা নিজ নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ না পেয়ে অন্যত্র কাজ করেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে এই শ্রেণির প্রবাসীরা। কারণ তাদের বেশিরভাগই বর্তমানে কর্মহীন। নিজ নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ না করায় পাচ্ছেন না কোনো সাহায্য-সহযোগিতা।
শুরুর দিকে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে কিছু খাদ্য সহায়তার আবেদন গ্রহণ করা হয়। অনলাইনে করা আবেদনপত্র থেকে যাচাই-বাছাই করে অনেককে সহযোগিতা করা হয়। তবে এখন তেমন কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। সবচয়ে শোচনীয় অবস্থায় দিন পার করছেন যাদের বৈধ ওয়ার্ক-পারমিট নেই। এদিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের মাঝেও চলছে অবৈধ অভিবাসীদের ধড়পাকড় অভিযান। অভিযানের একপর্যায়ে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড-১৯।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও থেমে নেই ধড়পাকড়।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের পাশাপাশি দেশটিতে অনেক বাংলাদেশি ব্যবসা-বাণিজ্যও করছেন। যার বেশিরভাগ মিনি মার্ট-গ্রোসারি ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। নতুন সরকার গঠনের পর থেকে মালয়েশিয়াতে বিদেশিদের পরিচালিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে অভিযান। লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, স্থানীয় কর্মী নিয়োগ, বৈধ কর্মী না থাকাসহ নানা কারণে ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এমন প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান। ফলে বিনিয়োগকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আর ফ্লাইট চালু না হওয়াতে কর্মহীন হয়ে বসে থাকা লোকজন না ফিরতে পারছেন দেশে, না পারছেন এখানে টিকে থাকতে।
এদিকে, দেশের পরিস্থতিও স্বাভাবিক না। দিনদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। মালয়েশিয়াতে কোভিড-১৯ এর বন্ধ ঘোষণার আগে যারা ছুটিতে দেশে গিয়েছেন তারাও ছুটি শেষে ফিরতে পারছেন না।
সবকিছু মিলিয়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরিস্থতি স্বাভাবিক না হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রবাসীকর্মীদের জন্য তেমন কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিদেশিকর্মী নিয়োগে শূন্য ব্যয় নীতিতে ফিরে আসছে মালয়েশিয়ার দুটি কোম্পানি। এ নীতির কারণে অভিবাসন ব্যয় ফিরে পাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় কর্মরত ১২৮১ বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ১২৮১ বাংলাদেশিসহ ১৬০০ বিদেশিকর্মীর অভিবাসন ব্যয় ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গ্লোভস প্রস্তুতকারক কোম্পানি ডব্লিউআরপি ও নাইট্রিটেক্স। এর মধ্যে ডব্লিউআরপি ১০৮২ জন এবং নাইট্রিটেক্স ১৯৯ বাংলাদেশির অভিবাসন ব্যয় ফিরিয়ে দিচ্ছে। কিস্তিতে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ রিঙিত, যা তাদের নিয়োগব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে ডব্লিউআরপি কোম্পানির কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সময় কোম্পানির বকেয়া বেতন পান কর্মরত ১১৩৭ বাংলাদেশি। গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশিকর্মীসহ বিদেশিরা বকেয়া বেতনের দাবিতে স্ট্রাইক করেন। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্ট সরেজমিন তদন্ত করে সময়মতো বেতন না দেয়া, বেতন আটকে রাখা, ওভারটাইম না দেয়া, অযৌক্তিকভাবে বেতন কর্তন, অন্যায়ভাবে সরকারি ছুটির দিনে বা বন্ধের সময় কাজ করিয়ে নেয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখতে পায়। তখন কোম্পানি কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মানবাধিকার, শ্রম ও অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ডিপার্টমেন্টকে সমস্যা সম্পর্কে জানালে আমেরিকার বর্ডার অ্যান্ড কাস্টমস কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ কোম্পানির উৎপাদিত গ্লোভস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিকর্মীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা লিকুইডেটর এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও লেবার ডিপার্টমেন্ট, কোম্পানি ও ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন।
বাংলাদেশিসহ সব বিদেশিকর্মীর কল্যাণের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আইনগতভাবে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকায় শূন্য ব্যয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাদের। অন্যান্য আরও অনেক কোম্পানিকে একই ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি সারাভানানের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম এক বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশিকর্মী এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে হাইকমিশনার করোনা নিয়ন্ত্রণের সফলতার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের প্রশংসা করেন। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী সঠিক ও দৃঢ়তার সাথে করোনা মোকাবিলায় সাহসী নেতৃত্ব প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার করোনার কারণে বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিকর্মীদের কাছে খাবার সহায়তা পৌঁছে দেয়া, চাকরি ও বেতন নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া বাংলাদেশিকর্মীদের নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়ায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শহীদুল ইসলাম। এরই মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশিকর্মী নিয়োগকর্তা পরিবর্তন করেছেন এবং কোম্পানি পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তিন শতাধিক বাংলাদেশি। শিগগিরই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ ও আন্তরিক। তারা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশিকর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। নিয়োগকর্তারা যাতে তাদের সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, যথাযথ আবাসন এবং নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করে- এসব বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করছে।
সর্বশেষ আপডেট: ২ আগস্ট ২০২০, ০২:০৪
পাঠকের মন্তব্য