বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নির্ধারণে পরিচালিত জরিপে নিয়মিতভাবে শীর্ষের কাছাকাছি থাকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গির নাম। উপযোগবাদী পরিবহন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় এ বিমানবন্দর এখন কেনাকাটার জন্যও বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। গত বছর বিমানবন্দরটিতে যুক্ত হয় ১৫ লাখ বর্গফুটের বিক্রয়কেন্দ্রসমৃদ্ধ অত্যাধুনিক বিনোদন কেন্দ্র ‘জুয়েল’; যেখানে রয়েছে কৃত্রিম বন, গোলকধাঁধা ও বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গৃহাভ্যন্তরস্থ জলপ্রপাত। এখানেই শেষ নয়। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিমানবন্দরটির বার্ষিক সক্ষমতা ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশালাকৃতির পঞ্চম টার্মিনালের কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদার নির্ধারণের কথা ছিল চলতি বছরেই।
কিন্তু এর পরই শুরু হয়ে গেল বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের পছন্দের বিমানবন্দরটিতে এক বছর আগের তুলনায় এপ্রিল, মে ও জুনে এয়ার ট্রাফিকের পতন হলো ৯৯ শতাংশেরও বেশি। এ পরিস্থিতিতে চারটি টার্মিনালের দুটির কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি পিছিয়ে দেয়া হয় পঞ্চমটির নির্মাণ পরিকল্পনা। শুধু চাঙ্গিই নয়, পুরো বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর ব্যবসায় ধস সৃষ্টি করেছে করোনার সংক্রমণ। মূলত এয়ারলাইনস ও তাদের খরুচে যাত্রীদের অব্যাহত সমাগমের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানবন্দরের চিরাচরিত ব্যবসায়িক মডেলটি কভিড-১৯-এর থাবায় একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় আয় সৃষ্টির জন্য সম্পূর্ণ নতুন পথ খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন নিরুপায় বিমানবন্দর পরিচালকরা। যেমন ভ্রমণ করছে না, এমন সিঙ্গাপুরবাসীকে শুল্কমুক্ত কেনাকাটার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে চাঙ্গি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরটির সংকটাপন্ন খুচরা বিক্রেতাদের ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া আয়ের জন্য পার্কিং লটকে ড্রাইভ-ইন মুভি থিয়েটারে রূপান্তর করা কিংবা অব্যবহূত জমিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ফার্ম স্থাপনের মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন বিমানবন্দর।
সর্বশেষ আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২০, ১০:২০
পাঠকের মন্তব্য