করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া কুয়েত প্রবাসীরা কবে ফিরবেন কর্মস্থলে- নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
কবে ফিরবেন কর্মস্থলে , উদ্বিগ্ন কুয়েত প্রবাসীরা

কুয়েতে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হলেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসী। কুয়েত সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে জনসংখ্যার এই স্থিতিশীল ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য।

এছাড়া কুয়েত সরকার দেশটিতে প্রায় ৪৫০ ভুয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভিসা বিক্রির অভিযোগে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

যে সকল প্রবাসীরা এসব ভুয়া কোম্পানি থেকে ভিসা ক্রয় করে কুয়েতে এসেছেন তাদের এক বছরে ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে। এসকল কুয়েত প্রবাসী সংখ্যা প্রায় এক লাখেরও বেশি।

অন্যদিকে যেসব প্রবেশের কোনো ডিগ্রী নেই , যাদের বয়স প্রায় ৬০-এর ঊর্ধ্বে , তারা শুধু আর মাত্র এক বছরের আকামা নবায়ন করতে পারবেন। পরবর্তীতে তাদের আর আকামা নবায়ন হবে না।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ১ আগস্ট থেকে চালু থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে কুয়েত সরকার , কুয়েত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ , ভারত ,পাকিস্তান ও মিসরসহ ৩১ দেশের শ্রমিকদের।

তারা আরোও জানিয়েছে , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করবে তারা প্রতি ১০ দিন পর পর এবং ফ্লাইট চালু হলে ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের তিন ধাপের ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রথম ধাপে ফিরিয়ে আনা হবে ডাক্তার , নার্স , শিক্ষক , প্রকৌশলী। ও দ্বিতীয় ধাপে তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং সর্বশেষ ধাপে অন্য আকামাধারী প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনা হবে।

দেশটির জাতীয় দৈনিক আল কাবাস ও আরব টাইমস সূত্রে আরো জানা যায় , কোম্পানিও কফিলরা অনলাইনে আকামা নবায়ন না করায় করোনাকালীন ছুটিতে টাকা ৭৫ হাজার প্রবাসী কুয়েত প্রবেশে বৈধতা হারিয়েছে।

এখন ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের দিন কাটছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা মধ্যে। কবে তারা ফিরবেন তাদের নিজ কর্মস্থলে , কবে স্বাভাবিক হবে সবকিছু আগের মত-সেই চিন্তায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

কমিটির নেতারা এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের উদ্বিগ্ন না হয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন এবং কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর দাবি জানান।