হঠাৎ যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধিতে বিপাকে রয়েছে বিমান সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশ থেকে এখন শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ ও টার্কিশ এয়ারলাইন্স সীমিত সংখ্যায় মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
১৭ টি গন্তব্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সেখানে এখন মধ্যপ্রাচ্যের মাত্র দুটি গন্তব্যে, আবু ধাবি ও দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মোকাব্বির হোসেন বলছেন, আগে সপ্তাহে ২১ টি ফ্লাইট ছিল এমিরেটস এয়ারলাইন্সের। এখন তা চারটিতে নেমে এসেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি সীমিত আকারে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দিয়েছে।
কিন্তু কয়েকটি শর্ত ছিল। তার মধ্যে একটি হল শ্রমিকদের সেখানকার সরকারি একটি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
অনুমোদন পাওয়া গেলেই তারপর তারা যেতে পারবে। সেই নিয়মটি এই দশ তারিখ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এখন পাঁচ মাসে যারা যেতে পারেননি তারা সবাই যেতে চান। ফলে এই মাসের দুই সপ্তাহের যে ফ্লাইটগুলো ছিল তার টিকেট নিমিষেই শেষ হয় গেছে।
এছাড়া অন্য শর্তগুলোর একটি হল এক ফ্লাইটে দুশোর বেশি যাত্রী নিতে পারবে না এয়ারলাইন্সগুলো। সেজন্য সবাইকে টিকেট দেয়া যাচ্ছে না।
তাছাড়া যারা ফিরতি টিকেট কেটে দেশে এসেছিলেন তাদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। যে কারণে নতুন যারা টিকেট কাটতে চাইছেন তারা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।
আগামী দুই মাস ফ্লাইট পরিচালনার জন্য স্লটের অনুমোদন এখনো দেয়নি আরব আমিরাত।
তাই অগ্রিম টিকেট বুকিং দিতে পারছে না বাংলাদেশ বিমান। যে কারণে সেপ্টেম্বরেও টিকেট পাচ্ছেন না অনেকে।
অন্যদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক শ্রমিকের তাই সময়মত যেতে না পারলে কাজ হারানোর ভয়।
সব মিলিয়ে উভয় সংকটে রয়েছে এয়ারলাইন্স ও অভিবাসী শ্রমিক দুই পক্ষই।
সর্বশেষ আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১২:০১
পাঠকের মন্তব্য