আবু ধাবি বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ১৩২ বাংলাদেশী। অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন বা এপিআই না থাকায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিমানযাত্রীদের মধ্যে ১৩২ বাংলাদেশী আবু ধাবি বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন। গত শনিবার এসব যাত্রীরা বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান।
আবু ধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো বিমানযাত্রীকে আমিরাতে প্রবেশ করতে হলে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে এপিআই নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এসব যাত্রীদের অনেকেরই এপিআই ছিল না। ফলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের বিমানবন্দরে আটকে দেয়।
জানা গেছে, গত শনিবার ঢাকা থেকে ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে আবু ধাবি যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। এদের মধ্যে ১৪৪ জন ইমিগ্রেশন থেকে চেকিংয়ের পর ছাড়া পেলেও বাকী ৮১ জন যাত্রীকে এপিআই আবেদনের জন্য আটকে রাখে কর্তৃপক্ষ। ঠিক কী কারণে তাদের আটকে রাখা হয় তাৎক্ষণিকভাবে জানতেও পারেননি বিমানের যাত্রীরা। পরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায় যে, এপিআই না থাকায় এসব যাত্রীদের আটকে রাখা হয়। এছাড়া এয়ার অ্যারাবিয়া একটি ফ্লাইটে ৫১ জনসহ মোট ১৩২ জন যাত্রী আটকা পড়েন।
তবে এ অবস্থা যে শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমনটি নয়, পাকিস্তান ও অন্য একটি দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন। মোট তিন দেশের মোট ৩৫০ জন যাত্রী আটকে পড়ে বলে জানা গেছে।
আবু ধাবি বিমানবন্দরে আটকে পড়া এক বাংলাদেশী জানান, আমাদের সবারই করোনা নেগেটিভ পরীক্ষার সনদ ছিল। অথচ কেন আমাদের বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো জানি না। তবে বিষয়টি ইমিগ্রেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের আলোচনা করে সমাধান করার কথা জানান এসব বিমানযাত্রীরা।
আটকে পড়া যাত্রীদের বিষয়ে আবু ধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর জানান, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কত দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, আমিরাত হচ্ছে আইনের শাসনের প্রতি নমনীয় একটি দেশ। নিয়মের পরিপন্থী হওয়ায় বিষয়টি সমাধানে সময় লাগছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে আবু ধাবি ইমিগ্রেশনও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২০, ২২:৩২
পাঠকের মন্তব্য