করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বিমান সংস্থাগুলো অস্তিত্বসংকটে পড়েছে। আকাশপথে সীমিত পরিসরে যাত্রী পরিবহন হলেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছে না এয়ারলাইনসগুলো। এ পরিস্থিতিতেই আজ রবিবার থেকে বাড়ছে বিদেশযাত্রার খরচ।
দেশ-বিদেশে কোথাও গেলেই যাত্রীদের গুনতে হবে বিমানবন্দর নিরাপত্তা ও উন্নয়ন ফি। গত জুলাইয়ে এসংক্রান্ত আদেশ জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আজ থেকে বিমানবন্দর ব্যবহার করে উড়োজাহাজে কোথাও গেলেই যাত্রীদের ফি গুনতে হবে।
উড়োজাহাজের টিকিটের সঙ্গে এই ফি কেটে নেওয়া হবে। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং চার্জ বাড়াতে চাচ্ছে।
বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, যাঁরা ১৬ আগস্টের টিকিট এরই মধ্যে কেটে রেখেছেন, তাঁদেরও এই ফি পরিশোধ করতে হয়েছে। রবিবার থেকে ভ্রমণ করলে এই ফি নেবে সব এয়ারলাইনস।
বেবিচক বলছে, সার্কভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে যাত্রীপ্রতি পাঁচ ডলার বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি এবং ছয় ডলার যাত্রী নিরাপত্তা ফিসহ মোট ১১ ডলার আরোপ করেছে। সার্কভুক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ১০ ডলার এবং নিরাপত্তা ফি ১০ ডলারসহ মোট ২০ ডলার গুনতে হবে।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ পথে চলাচলকারীদের প্রতি টিকিটের জন্য উন্নয়ন ফি দিতে হবে ১০০ টাকা ও নিরাপত্তা ফি ৭০ টাকা। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ পথের যাত্রীদের খরচ বাড়ল ১৭০ টাকা।
এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর জন্যই মূলত এ ফি আরোপ করা হয়েছে। এ টাকা দিয়ে বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হবে।’
করোনার মধ্যে এই ফি উড়োজাহাজে ভ্রমণে যাত্রীদের কিছুটা হলেও নিরুৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন এয়ারলাইনসসংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে বিমানসংস্থাগুলো যাত্রী সংকটে ভুগছে। সংকটকালে এটি কার্যকর করায় আমাদের সবার জন্য বাড়তি চাপ তৈরি হলো।’
সর্বশেষ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৯:৫৯
পাঠকের মন্তব্য