ভিয়েতনামে পাচারের শিকার হওয়া ১১২ বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে ফিরেছেন ভিয়েতনামের এক নাগরিকও। দেশটির হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় দেশে ফেরেন তারা।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তবে দূতাবাসের দাবি, ফেরত আসা এসব কর্মীরা দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।
দূতাবাসের অনুরোধে দেশটির সরকার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভিয়েতনামে কাজের সন্ধানে এসে আটকা পড়া ১০৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক এবং কোভিড-১৯ মহামারির জন্য আটকে পড়া ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও একজন ভিয়েতনামিজসহ মোট ১১৩ জনকে নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি বিশেষ বিমান দুপুর ২টায় হ্যানয়-এর নইবায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
দূতাবাসের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভিয়েতনামে আটকে পড়া এসব বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবসনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয় বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে।
দূতাবাসের বিশেষ অনুরোধে ভিয়েতনাম সরকার অবৈধ শ্রমিকদের পাসপোর্ট পুন:রুদ্ধার, ভিসাহীন অবস্থানের ক্ষতিপূরণ মওকুফ এবং এক্সিট পারমিট প্রদান করে।
ভিয়েতনাম সরকারের সাহায্য ও সহযোগিতায় দূতাবাস বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি সংগ্রহ করে।
উল্লেখ্য, কোভিড মহামারির জন্য ভিয়েতনাম আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রেখেছে।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ ও দূতবাস কর্মকর্তাবৃন্দ বিমানবন্দরে এসব বাংলাদেশিদের বিদায় জানান।
সর্বশেষ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪০
পাঠকের মন্তব্য