আমিরাতের পর ওমান ও বাহরাইনকে যত দ্রুত সম্ভব কাছে টানতে চায় ইসরাইল। সেই লক্ষ্যেই নজিরবিহীন তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির কর্মকর্তারা।
বিশ্বের অন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মতো ইসরাইলের সঙ্গে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সরাসরি কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এই অঞ্চলের মার্কিন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের গোপন ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ আছে।
গত সপ্তাহে (বৃহস্পতিবার) প্রথমবারের মতো নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা জানায় আমিরাত ও ইসরাইল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওকালতিতে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অ্যাখ্যা দেয় ফিলিস্তিনিরা।
অন্যদিকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষণকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে। সেই সঙ্গে আমিরাতের মতো উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশও একই পথে হাঁটবে বলেও আশা প্রকাশ করে।
শুধু তাই নয়, আরব ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী।
ইসরাইলের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে আমিরাতকে অনুসরণ করতে পারে বাহরাইন ও ওমান।
রোববার আর্মি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেন, আমিরাতের সঙ্গে এই চুক্তির ধারাবাহিকতায় আরব উপসাগরীয় দেশ এবং আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আরও চুক্তি হবে।
কোহেন আরও বলেন, আমি মনে করি বাহরাইন ও ওমান এখন নির্দিষ্টভাবে আলোচনায় রয়েছে। এছাড়াও আমার মূল্যায়ন হল, আগামী বছরগুলোতে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে এ ধরনের শান্তিচুক্তি হবে, এদের মধ্যে সুদান প্রধান।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা বাহিনী প্রধান (মোসাদ) ইয়াসি কোহেন জানান, গত সপ্তাহেই বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী খলিফা বিন সালমান আল খলিফার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
সর্বশেষ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪৯
পাঠকের মন্তব্য