বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়াত্ত বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতো।
বর্তমানে তাদের মাত্র দুটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু আছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হিসাব অনুযায়ী, করোনাকালে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ বিমানের বহরে বর্তমানে মোট ১৮টি উড়োজাহাজ রয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে আয় না থাকলেও বিমানের প্রতি মাসে ৬২৮ কোটি টাকার ফিক্সড কস্ট (নির্দিষ্ট ব্যয়) আছে।
এছাড়া লোকসানের খাতায় নাম লেখানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে, চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহন করতে না পারা।
এবার হজযাত্রী পরিবহন করে প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা আয় করতো বিমান। তবে সেখানেও বাগড়া বসিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস।
শিডিউলড ফ্লাইট বন্ধ থাকায় মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, করছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংও।
এগুলো পরিচালনা না করলে বিমানের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তো।
ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের প্রণোদনা হিসাবে ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
কর্মীদের বেতন কমানো হয়েছে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ। বন্ধ করা হয়েছে কর্মীদের সব ধরনের ভাতা। এরপরও টিকতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।
পাঠকের মন্তব্য