মহামারিতে এমনিতেই আকাশপথে যাত্রী কম, এর ওপর গত ১৬ আগস্ট থেকে যুক্ত হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তা ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি।
সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি দিতে হচ্ছে পাঁচ মার্কিন ডলার এবং যাত্রীর নিরাপত্তা ফি দিতে হচ্ছে ছয় মার্কিন ডলার।
সার্কভুক্ত ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি দিতে হচ্ছে ১০ মার্কিন ডলার এবং যাত্রী নিরাপত্তা ফিও ১০ মার্কিন ডলার গুনতে হচ্ছে।
এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে যাত্রীদের প্রতিবার ভ্রমণে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা এবং যাত্রী নিরাপত্তা ফি দিতে হচ্ছে ৭০ টাকা।
বেসরকারি বিমানসংস্থাগুলো বলছে, বেবিচকের আরোপ করা এসব ফি উড়োজাহাজের টিকিট কেনার সময় পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ফলে টিকিটের মূল্য বেড়েছে। এমনিতে আকাশপথে যাত্রী কম, এ মুহূর্তে টিকিটের দাম বেশি নিলে অনেকেই ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হবেন।
এসব বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোর্ড অব ডিরেক্টরস’র সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, সম্প্রতি বেবিচক যাত্রীদের ওপর বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ও যাত্রী নিরাপত্তা ফি বসিয়েছে।
এটি কার্যকরও হয়েছে। বেবিচকের এমন সিদ্ধান্তে আকাশপথের ভাড়া বাড়লো।
করোনাভাইরাসের সময়ে যাত্রী সংখ্যা এমনিতেই কম, নতুন করে ভাড়া বাড়ায় আকাশপথে ভ্রমণে আরও নিরুৎসাহিত হবেন যাত্রীরা।
এটি এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়াবে’।
পাঠকের মন্তব্য