২০১৩ সালের দিকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে বছরে প্রায় ছয় লাখ ৪৮ হাজার যাত্রী আকাশপথে যাতায়াত করতো।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের দিকে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখে।
তবে সম্ভাবনাময় এ সেক্টরে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত তেলের (জেট ফুয়েল) দাম।
সর্বশেষ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) অভ্যন্তরীণ রুট পরিচালনার ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৪৯ টাকা নির্ধারণ করে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে এ দাম পরে শূন্য দশমিক ৪৪ মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩৭ টাকা (সর্বশেষ ৫ আগস্ট ২০২০ থেকে কার্যকর) নির্ধারণ করা হয়।
তেল কেনার জন্য বিদেশিদের চেয়ে দেশি বিমান সংস্থাগুলোকে প্রতি লিটারে ১২ টাকা বেশি দিতে হয়। ফলে দেশের বিমান সংস্থাগুলো খরচ বাঁচাতে বিদেশে গিয়ে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে।
এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে।
একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এয়ারলাইন্স পরিচালনায় জ্বালানির ব্যয় বাবদ ৪০ শতাংশ অর্থের খরচ হয়।
কিন্তু বাংলাদেশে এ খরচ আরও বেড়েছে। দেশি বিমান সংস্থাগুলো যখন দেশ থেকে জ্বালানি কেনে তখন আমাদের কাছ থেকে প্রতি লিটারে ১২ টাকা বেশি নেয়।
একই জ্বালানি যখন বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কেনে তখন তাদের কাছ থেকে ১২ টাকা কম রাখা হয়। এ বৈষম্য কেন?
২০১৮ সালের দিকে তেলের দামের ব্যবধান ছিল ২৫ টাকা।
বর্তমানে এ ব্যবধান কমে ১২-তে ঠেকলেও করোনা মহামারির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিমান সংস্থাগুলোর জন্য এটা এখন অনেক বড় মাথাব্যথার কারণ।
পাঠকের মন্তব্য