অবশেষে কাতারে কাফালা ব্যবস্থা বাতিল হচ্ছে, এতে প্রভূত উপকৃত হবে প্রবাসীরা।এ পদ্ধতি বাতিল করা হলে কাতারের প্রবাসী কর্মীরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী কফিল (নিয়োগকর্তা) পরিবর্তন ও দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, দীর্ঘ সমালোচিত কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ‘কাফালা’ কার্যকরভাবে বাতিল করেছে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ কাতার। ফলে এখন অভিবাসী শ্রমিকরা তাদের বর্তমান নিয়োগকর্তাদের অনুমতি না নিয়েই চুক্তি শেষ হওয়ার আগে চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন।
আইএলও জানায়, দেশটিতে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এক হাজার কাতারি রিয়াল (২৭৫ মার্কিন ডলার) নির্ধারণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
কাফালা বাতিলের সিদ্ধান্তটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও, আইনটি কার্যকর হতে আরও অন্তত ৬ মাস সময় লাগবে।
এছাড়া, ন্যূনতম মজুরি বিধির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের শ্রমিকদের জন্য আবাসন ও খাবারের জন্য ভাতা দিতে হবে।
এ পদক্ষেপের প্রশংসা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘‘এটি উৎসাহজনক লক্ষণ যে শেষ পর্যন্ত কাতার সঠিক পথে চলছে।’’
তবে নিয়োগকর্তারা চাইলে এখনও ‘‘পলাতক’’ কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের সুবিধা উপভোগ করা কাতার ২০১৮ সালে আংশিকভাবে ‘‘কাফালা’’ ব্যবস্থা বাতিল করে।
আইএলও বলছে, এ পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসী কর্মীরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী কফিল (নিয়োগকর্তা) পরিবর্তন ও দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন এবং কর্মসংস্থান চুক্তিতে নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী চলাচলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন।
উল্লেখ্য , কোনো এক ব্যক্তির অধীনে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়াই হলো কাফালা পদ্ধতি। যেখানে একজন কফিল কোনো বিদেশি কর্মীকে স্পন্সর করলে সে কর্মী কাতার যেতে পারেন এবং সেখানে যাওয়ার পর ওই নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করতে হয় তাকে। এ ক্ষেত্রে ওই কর্মীর কাজ পরিবর্তনসহ সার্বিক সব বিষয় নির্ভর করে নিয়োগকর্তার ওপর।
সর্বশেষ আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২০, ২১:১৬
পাঠকের মন্তব্য