বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপের দেশ ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমিয়ে এনেছে ওই দেশের সরকার।
আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিরা ইতালি যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৫ জুলাই) ইতালি সরকার একটি নোটিশ টু এয়ারমেন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
প্রকাশিত ওই নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশে ১৪ দিন অবস্থান করেছে এমন কেউ ৩১ জুলাই
পর্যন্ত ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এই নোটিশ পরিবর্তিত না হলে ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিরা ইতালিতে ঢুকতে পারবে।’ নোটিশটি বাংলাদেশসহ
মোট ১৩টি দেশের জন্য প্রযোজ্য।
অন্যদেশগুলো হচ্ছে আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া,
মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু ও ডমিনিকান রিপাবলিক।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এক বার্তায় বলেন, ‘ইতালি সরকার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশসহ ১৩টি
দেশের জন্য ফ্লাইট ব্যান ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা বলা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে যারা ইতালিতে গিয়েছিল তারা জাল কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছিল। এটি ভুল তথ্য। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে যাত্রীদের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন কোভিড-১৯ নেগেটিভ (সঠিক) সার্টিফিকেট নিয়েছিল এবং কেউ রিজেন্ট বা জেকেজি হাসপাতাল থেকে নেয়নি।
এছাড়া যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইতালি সরকার কখনই সার্টিফিকেট নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন কূটনীতিক বলেন, ইতালির ল্যাজিও শহরে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি থাকে।
সেখানে বুধবার ২০ জন নতুন করোনা রোগীর মধ্যে সাতজন বাংলাদেশি। গত সোমবার সেখানে ২৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি।
ইতালিতে গত ১২ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ছয়টি ফ্লাইটে প্রায় ১,৬০০ বাংলাদেশি গিয়েছেন। প্রথম ফ্লাইটে করোনায় আক্রান্ত রোগী পেলেও ইতালি পরবর্তী পাঁচটি ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের আসার অনুমতি দিয়েছিল। প্রথম ফ্লাইটে যাদের সন্দেহ করা হয়েছিল তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে তাদের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন সংক্রমিত হয়েছে অর্থাৎ তারা কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ মানেনি। এদিকে ৬ জুলাই যারা গিয়েছিল তাদের মধ্যে ৪৮জন করোনায় আক্রান্ত ছিল। তারা ছাড়াও এর আগে যারা গিয়েছিল তাদের কোয়ারেন্টিনে রেখেছিল ইতালি সরকার। কিন্তু তাদের অনেকে ইতালিয়ান খাবার পছন্দ না হওয়ায় বাঙালি খাবার খাওয়ার জন্য বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় যান। এমনকি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদেও গিয়েছিল বলে জানা গেছে।
পাঠকের মন্তব্য