৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ছে ইতালির সাথে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা

ইতালির সাথে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা
ইতালির সাথে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা

ইতালির সাথে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ছে। করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ ঠেকাতে বাংলাদেশসহ আরও ১৬ টি দেশের সাথে ইতালির সকল ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা আবারও বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। তবে দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে নতুন করে লকডাউনে যেতে চাচ্ছেনা দেশটি।

জানা যায়, নতুন করে দেশটিতে আবারও করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশসহ মোট ১৬ টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্তই বহাল রয়েছে।

রোববার দেশটির স্বনামধন্য পত্রিকা কোররিয়েরা পুন্ত ইট এমন খবর প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয় ইতালি সরকার। পরে পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে একটি দেশ কমিয়ে বাংলাদেশসহ মোট ১৬ টি দেশের সাথে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা ১০ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

তবে বর্তমানে দেশটিতে আবারো নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে এখনো কোন ঘোষণা আসেনি।

চলতি মাসের শেষদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলি হচ্ছে আরমানিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বসনিয়া, চিলি, কুয়েত, উত্তর মাচেদোনিয়া, মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু, রিপাবলিক ডোমেনিকান, কসভো, মন্তেনেগ্রো ও সার্বিয়া।

এভাবে বারবার ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশে আটকে পড়া ইতালি প্রবাসীরা। এতে অনেকেই সময়মত কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারায় চাকরি হারাচ্ছেন। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী দেশে আটকে থাকায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হুমকির মুখে।

এ বিষয়ে দেশে আটকে পড়া প্রবাসী ব্যবসায়ী হৃদয় মুঠোফোনে বলেন, প্রায় ৯ মাস যাবত দেশে আটকে আছি। ফ্লাইট বন্ধের কারণে ফিরতে না পারায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। তবে বছর শেষে আমাকে দোকান ভাড়া ঠিকই পরিশোধ করতে হবে।

এভাবে ব্যবসা না করে আমি কিভাবে ভাড়া পরিশোধ করব। শেষে হয়তো আমাকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। তবে আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করে বলতে চাই, দেশের রেমিটেন্সের কথা চিন্তা করে যতদ্রুত সম্ভব ইতালির সরকারের সাথে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা হোক।

সর্বশেষ আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:৩১
Desk
এড্যমিন

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও