প্রবাসী শ্রমিকের লাশ সরকারি খরচে দেশে আনতে আইনি নোটিশ বিদেশে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক মারা গেলে তার লাশ সরকারি খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নোটিশটি পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে রোববার সকালে ডাক রেজিস্ট্রিযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের লাশ দেশে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে মূলত বৈদেশিক রেমিট্যান্সের কারণে। আমাদের দেশের মানুষ যারা বিদেশের মাটিতে শ্রম দিচ্ছেন, তাদের ঘাম ঝরানো পয়সা দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রয়েছে।
আর তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে, সেই সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুবিধা আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ ভোগ করছে এবং আমরা আমাদের আয়েশি জীবনযাপন করতে পারছি।
যে খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সেই শ্রমিকদের প্রতি একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণত বিদেশে কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিক মারা গেলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের মরদেহ সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে।
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ফ্রি ভিসা বা অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক মারা গেলে সে যে দেশের নাগরিক, সে দেশকেই তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে, আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
ওই আইনজীবী বলেন, এর আগে আমাদের দেশে এ ধরনের শ্রমিকদের যারা বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের লাশ বিমান বাংলাদেশ বিনা খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করে আসছিল। কিন্তু পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে আর মরদেহ বহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সে ক্ষেত্রে বিদেশে কোনো শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারের খরচে লাশ দেশে আনতে হবে। এ কারণে সরকারি খরচে যাতে লাশ পরিবার পেতে পারে, সেজন্য নোটিশটি পাঠিয়েছি।
সর্বশেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:১৪
পাঠকের মন্তব্য